সংবিধান

লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) ম্যানিফেস্টো এবং প্রোগ্রাম
- বাংলাদেশের জনগণ আজ একটি গভীর সংকটে ভুগছে যা তাদের ওপর নেমে এসেছে। শোষণ, প্রতারণা, বৈষম্য, অবিচার, সামাজিক অবক্ষয়, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, কালো টাকার প্রাধান্য, দুর্নীতিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থা এবং সমাজের অপরাধায়নের কারণে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ও নিরুদ্দেশ হয়ে পড়েছে।
- আমাদের হাজার বছরের গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। বাংলাদেশি জনগণ দীর্ঘ সময় ধরে একটি স্বতন্ত্র সত্তা ও স্বাধীন জাতি গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছে। নৃতত্ত্ব, জাতিগত বৈচিত্র্য, ভাষাগত একাত্মতা, অর্থনৈতিক জীবনধারা এবং অবিভক্ত আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে আমরা আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গড়ার উপকরণ দিয়ে সমৃদ্ধ। আমাদের পূর্বপুরুষরা শতাব্দী ধরে এসব উপাদান সৃষ্টির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারা উপমহাদেশের স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, যা ১৯৪৭ সালে দেশের বিভাজন ঘটিয়েছিল এবং আমাদের আত্মপ্রকাশ ও জাতীয় উত্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল।
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরসহ অনেক অজানা শহীদ মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশের জন্মের বীজ বপন করেছিল। এরপর ২৩ বছর ধরে সাংস্কৃতিক সংহতি, জাতীয় পরিচয়, স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে – এবং অবশেষে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে – স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ ও আত্মমুক্তির সংগ্রাম সফল হয়েছে।
- অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র লাভ করেছিল। দুঃখজনক হলেও দীর্ঘ ৩৮ বছর পার হওয়ার পরেও আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। বরং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় বিশ্বাস, যা আজ আবারও নানা রূপে ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাচ্ছে। পরাজিত সহযোগীরা – আল বদর, রাজারকার ও তাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা – আজ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে। তাদের অপশাসনের অভিশাপের নিচে দেশ পুড়ছে।
- এই অবস্থা দেশের ১৪ কোটি মানুষের ভবিষ্যতকে ধীরে ধীরে অনিশ্চিত করে তুলছে।
- সামাজিক উচ্চবিত্ত শ্রেণির রাজনৈতিক নেতারা বিলাসবহুল জীবনযাপনে নিমজ্জিত। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও বেআইনী সম্পদ আহরণের প্রবণতা আইনের শাসনকে অবহেলা করে সমাজে উৎকণ্ঠার সঞ্চার করছে। সুযোগ বুঝে কিছু গোষ্ঠী অসচেতনতা, কুসংস্কার, দারিদ্র্য ও উন্নয়নের অভাবের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশকে চরম মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উৎপাতের ময়দান বানাতে চাচ্ছে।
- জাতীয় সংকটের এই মুহূর্তে আমরা নিরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। কেবল অভিযোগ ও হতাশা প্রকাশ করেই দায় এড়ানো অপরাধ। অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার ও স্বৈরাচারের হুমকি সহ্য করা এবং নীরব থাকা সঠিক নয়। অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণসহ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত অবস্থা ও জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।
- মূল্যবৃদ্ধি, কল-কারখানা বন্ধ হওয়া, বেকারত্ব ও কৃষকের অবহেলা আমাদের মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীকরণ এবং সাংস্কৃতিক স্তব্ধতা আমাদের জীবনকে সহ্য করা কঠিন করেছে।
- দেশকে রাজনৈতিক অপরাধায়ন, অর্থনৈতিক দুর্নীতি এবং সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের জাতীয় দায়িত্ব একটি নিরাপদ, আধুনিক, সমৃদ্ধ ও মানবিক সমাজ গঠন করা।
- বর্তমান নেতিবাচক রাজনীতি ত্যাগের সময় এসেছে। দেশের অস্তিত্ব ও অগ্রগতির জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অপরিহার্য।
- বর্তমান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুশীলিত নীতিমালা, আধিপত্যবাদী মতাদর্শ ও পুরনো কর্মপদ্ধতির কারণে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা অসম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই মানুষ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
- দেশের মানুষ এখন সমৃদ্ধ, সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বপ্ন দেখছে। এই চাহিদা পূরণের জন্য সাহসী ও সক্ষম নেতৃত্ব, শৃঙ্খলাবদ্ধ দলীয় কাঠামোর প্রয়োজন।
- আমাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণের পর নতুন একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছি। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এই পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
- আমরা সকল মুক্তমনা, গণতান্ত্রিক সচেতন, মানবিক ও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গির জনগণকে এই উদ্যোগে যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, আমরা মিলে দেশকে দুর্নীতি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, নিরাপত্তাহীনতা ও অপরাধায়নের অভিশাপ থেকে মুক্ত করি। শোষণ, প্রতারণা, বৈষম্য, বেকারত্ব, অক্ষরজ্ঞানহীনতা, কুসংস্কার ও অজ্ঞতা থেকে দেশকে মুক্ত করি।
কর্মসূচি (Programme)
সংবিধান ও রাষ্ট্রনীতি:
- রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সংবিধানের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
- আইনের শাসন এবং জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠান গঠন।
- ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী ও সমতার ভিত্তিতে সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
- সকল জাতীয় নেতাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা।
- স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জোরদার করা।
- দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মুক্তিপণমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়া।
- দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূরীকরণ।
- সৎ, যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্ব বিকাশ।
- ঘৃণা ও বিভাজন রাজনীতি পরিত্যাগ করে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
- সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও পদোন্নতি যোগ্যতা ভিত্তিক করা।
- খাদ্যশস্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
- রাষ্ট্রপতি নিয়োগের সাংবিধানিক বিধান বাস্তবায়ন।
- শক্তি সংকটের দেশব্যাপী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
সরকার ও প্রশাসন:
- আধুনিক, প্রতিনিধিত্বশীল ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গঠন।
- স্থানীয় সরকারের কার্যকর এবং স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
- চার স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা (জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন/ওয়ার্ড) গঠন।
- স্থানীয় সরকারকে বাজেট ও আয়-উপার্জন ক্ষমতা প্রদান।
- স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণ।
অর্থনীতি ও উন্নয়ন:
- কল্যাণমুখী ও মানবিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
- শোষণ, বৈষম্য ও লুটপাট বন্ধ করা।
- শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য ও চিকিৎসাসহ সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার।
- কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ।
- পল্লী উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিশেষ প্রণোদনা।
- নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।
- ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ।
- প্রত্যেক উপজেলার উন্নয়নকেন্দ্র হিসাবে বিকাশ।
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা ও সুলভ ঋণ ব্যবস্থা।
- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও উন্নয়ন।
- দক্ষ শ্রমিক প্রস্তুত করার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গঠন।
- দূরবর্তী অঞ্চল ও নগর বস্তির সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার রক্ষা।
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ঋণ ও করমুক্তি।
- কৃষি উন্নয়ন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতি।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া:
- শিক্ষা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
- প্রকৌশল ও প্রযুক্তির পাশাপাশি সাধারণ ও মানবিক শিক্ষায় গুরুত্ব।
- ইংরেজি ও আরবী ভাষাকে বাংলার সমান্তরালে গুরুত্ব দেওয়া।
- জাতীয় ও বৈশ্বিক সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন।
- কুসংস্কার, গোঁড়ামি ও প্রথাগত চিন্তাধারা পরিত্যাগ।
- ক্রীড়াকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ করা।
- শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা।
- প্রতিটি জেলায় বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি:
- ২১ শতকের জাতীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ভিত্তিতে নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন।
- বৈদেশিক নীতিতে "সকলের প্রতি বন্ধু, কারোর প্রতি শত্রু নয়" নীতি অনুসরণ।
- সকল আন্তর্জাতিক বিবাদ শান্তিপূর্ণ আলোচনায় সমাধান।
- সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ।
- প্রতিবেশী দেশ ও সাআর্ক সদস্য দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন।
- সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা।
মানবাধিকার ও বিচারব্যবস্থা:
- রাষ্ট্রপতি নিয়োগের সাংবিধানিক বিধান বাস্তবায়ন।
- বিচারব্যবস্থাকে নির্বাহী শাখা থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী করা।
- সকল নাগরিকের মানবাধিকার অক্ষুণ্ণ রাখা।
- চিন্তা, বক্তব্য, আন্দোলন, সংগঠন ও নিরাপত্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত।
- নির্বাচনী ক্ষমতা ও কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
- নাগরিকদের জন্য আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা।
- পুলিশ প্রশাসন আধুনিকীকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা।
- নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক দুই ইউনিয়নে একটি পুলিশ আউটপোস্ট স্থাপন।
নির্বাচন ব্যবস্থা:
- স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন।
- নির্বাচনী বিধি-নিষেধ থেকে অস্পষ্টতা দূরীকরণ।
- প্রার্থীদের যোগ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আয়-উৎসের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক।
- ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা স্বচ্ছ ও আধুনিকীকরণ।
- নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও কর্মকর্তা দায়বদ্ধতা নিশ্চিত।
তথ্য ও গণমাধ্যম:
- স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন।
- সকল সংবাদ মাধ্যমের স্বায়ত্তশাসন ও দায়িত্বশীলতা।
- বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে গঠন।
চিকিৎসা ও বাসস্থান:
- সকল নাগরিকের চিকিৎসা সেবা মৌলিক অধিকার।
- সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ।
- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা।
- সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রবীণদের জন্য আস্তানার ব্যবস্থা।
- মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণদের ভাতা বৃদ্ধি।
- বেকারদের জন্য পর্যায়ক্রমিক ভাতা প্রদান।
আদিবাসী ও সংখ্যালঘু:
- সংখ্যালঘুদের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি।
- সংখ্যালঘুদের জন্য সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিতকরণ।
পরিবেশ ও প্রতিবেশ:
- নগরায়ন ও শিল্পায়নে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি রোধ।
- সব স্তরে গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করা।
- পরিবেশ রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্বশীল করা।